২০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বাণিজ্য ঘাটতিতে জাপান
২০২২ সালে ১৯ দশমিক ৯৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ১৫ হাজার ৫২৭ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে জাপান। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। জ্বালানি ও কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশটির আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি। খবর কিয়োদো এজেন্সি।
জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসসহ (এলএনজি) বিভিন্ন কাঁচামালের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এতে দেশটির আমদানি ব্যয় বছরওয়ারি ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮ দশমিক ১৬ ট্রিলিয়ন ইয়েন। একই সময়ে রফতানি ১৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ১৯ ট্রিলিয়ন ইয়েন। গাড়ি ও ইস্পাত রফতানি বৃদ্ধির জেরে দেশটির রফতানিও রেকর্ড উচ্চতায় দাঁড়িয়েছে। তার পরও গত বছর প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি। এর আগে ২০১৪ সালে ১২ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ইয়েন বাণিজ্য ঘাটতির রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে উপাত্ত রাখা শুরুর পর ২০২২ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে জাপান।
ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান পতন এতে মাথাব্যথার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় মূল্য ছিল ১৩০ দশমিক ৭৭। ২০২১ সালের চেয়ে যা ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে ইয়েনের বিনিময় মূল্য ছিল তিন দশকের সর্বনিম্নে।
গত বছর জ্বালানি ও কাঁচামালের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিতে আংশিক দায়ী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
কোন মন্তব্য নেই