কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে ঝুঁকিতে এনক্রিপশন ফিচার
প্রযুক্তি খাতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি জায়ান্ট বর্তমানে এ কম্পিউটিং ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত হতে বিনিয়োগ করছে। মহা আয়োজনের এ সময়ে ভয়ংকর তথ্য দিল ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন (আইবিএম)। এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তথ্যের সুরক্ষায় বর্তমানে যে এনক্রিপশন সুবিধা রয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের কারণে এর অস্তিত্ব ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর টেকরাডার।
প্রতিবেদনে আইবিএম জানায়, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের অংশ ডিক্রিপশন সলিউশন কার্যকর হয়ে গেলে পাবলিক কি ক্রিপ্টোগ্রাফি হুমকিতে পড়বে। এ পদ্ধতিকে হারভেস্ট নাউ ডিক্রিপ্ট লেটার কৌশল নাম দিয়েছে আইবিএম। এক নোটে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কিছু তথ্যের গুরুত্ব হ্যাকারদের কাছে কমে গেলেও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত তথ্য, অবকাঠামো, মেডিকেল রেকর্ড, ব্যক্তি সম্পত্তিসহ আরো অনেক বিষয় সময়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু তথ্য নয় কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের কারণে হয়তো স্বাভাবিক জীবনযাপনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আধুনিক বিশ্বে গাড়ি ও বিমানের মধ্যে যোগাযোগ সম্ভব। এছাড়া যোগাযোগের নেটওয়ার্ক রক্ষায় পিকেসি ব্যবহার করে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ব্রুট ফোর্সের কারণে এগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। আইবিএমের ধারণা, চলতি দশক শেষে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বিভিন্ন শিল্প খাতের পরিল্পনায় প্রভাব ফেলবে। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি কোয়ান্টাম সেফ ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যালগরিদম ভিত্তিক পাবলিক কি নিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথমে ৮২টি প্রস্তাব থাকলেও পরে তা চারটিতে নেমে আসে।
আইবিএম জানায়, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের পরিধি ও উত্কর্ষ দিন দিন বাড়ছে। তাই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ সামগ্রিকভাবে অনলাইনে সবার কার্যক্রম সুরক্ষায় নতুন ব্যবস্থা ও নীতি চালু করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই