ই-ফুয়েল উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে পোরশে
জার্মানির ফক্সওয়াগনের মালিকানাধীন পোরশে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিকল্প এ জ্বালানির বাণিজ্যিক উৎপাদনে এরই মধ্যে চিলিতে একটি কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে সেখানে উৎপাদন শুরু হলেও পোরশের পরিকল্পনা হলো এ কারখানা থেকে লাখ লাখ গ্যালন ই-ফুয়েল উৎপাদন করা।
প্রাথমিকভাবে মোটর স্পোর্টস এবং পারফরম্যান্স এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারগুলোয় এ জ্বালানি ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। পরবর্তী বছরগুলোয় ধীরে ধীরে অন্যান্য ক্ষেত্রে ই-ফুয়েলের ব্যবহার বাড়ানো হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ের পরিকল্পনা হলো এসব ই-ফুয়েল তেল কোম্পানি ও অন্যান্য পরিবেশকদের কাছে বিক্রি করা।
পোরশের পাইলট প্রকল্পে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লিটার ই-ফুয়েল উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দুই বছর পরে এ উৎপাদন ৫৫ কোটি লিটারে উন্নীতের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২০২০ সালে চিলির কারখানাটির কথা জানায় পোরশে। সেখানে ২ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নয়নের ঘোষণা দেয়া হয়। এ কারখানার সঙ্গে অংশীদার হিসেবে রয়েছে চিলির পরিচালন প্রতিষ্ঠান হাইলি ইনোভেটিভ ফুয়েলস, সিমেন্স রিনিউয়েবল এনার্জিসহ বিভিন্ন কোম্পানি।
পোরশে কর্তৃপক্ষ বলছে, ই-ফুয়েল অনেকটা গ্যাসোলিনের মতো কাজ করতে পারে। এটি ব্যবহারে গাড়ির মালিকরা আরো পরিবেশবান্ধব উপায়ে ঘুরতে পারবেন। গ্যাস স্টেশনগুলোর অবকাঠামো ব্যবহার করেই ই-ফুয়েল নিতে পারবেন গ্রাহকরা। বরং কোটি কোটি ডলার খরচ করে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন নির্মাণের চেয়ে এটি অনেক সুলভ।
তবে এটাও ঠিক যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে শতভাগ ই-ফুয়েলে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া যথেষ্ট কঠিন ও ব্যয়বহুল। কারণ জ্বালানির বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী ই-ফুয়েল উৎপাদন সময়সাপেক্ষ।
এর পরও ই-ফুয়েল উৎপাদন শুরু করতে পেরে তা উদযাপন করেছে পোরশে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো পোরশে ৯১১ মডেলের গাড়িতে এই সিনথেটিক ফুয়েল ব্যবহারেও সন্তুষ্ট তারা। পোরশের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মাইকেল স্টেইনার বলেন, ই-ফুয়েলের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো।
কোন মন্তব্য নেই