দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ হাউসে বর্ণিল ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ হাউস’ প্রবাসীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিল ব্যাপক আনন্দ উচ্ছ্বাস। অনেক স্বদেশিকে একসঙ্গে পাওয়ায় তাদের কাছে এ মিলনমেলা ছিল এক টুকরো বাংলাদেশ। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমন্ত্রিত সবাই একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাষ্ট্রদূতের নিমন্ত্রণে আসতে পেরে খুশি বাংলাদেশিরা।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং কোরিয়াস্থ বাংলাদেশি প্রবাসীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারকে আরও বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টায় দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘ঈদের এই আনন্দের দিনে আমি দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যে কয়দিন থেকে এখানে আছি আমি দেখেছি বাংলাদেশি কর্মীরা এখানে মোটামুটি সবাই ভালো আছেন। সবাই এ দেশের নিয়মনীতি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অনেক জায়গা থেকে বাংলাদেশিদের ব্যাপারে প্রশংসা শুনেছি। আমি আশা করবো বাংলাদেশিরা এই প্রশংসা ধরে রাখবেন। আরও সুন্দরভাবে কাজ করবেন। যাতে আমাদের দেশের বিষয়ে আরও অধিক ইতিবাচক ধারণা হয়। এ ধরনের ইতিবাচক ধারণ সৃষ্টি হলে আরও অধিক সংখ্যক বাংলাদেশিদের এদেশে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি।’
যে গানটি না বাজলে ঠিক ঈদ বলে মনে হয় না; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই কালজয়ী গান ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’– গানের মধ্যদিয়ে এক অপরূপ আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। গানটির সঙ্গে কণ্ঠ মেলান উপস্থিত অতিথিরাও। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাহারি রকমের খাবারেরও আয়োজন ছিল বাংলাদেশ হাউসে।
কোন মন্তব্য নেই