আগামীকাল লেনদেনে ফিরবে সিটি ব্যাংক
লভ্যাংশ নির্ধারণ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর আগামীকাল পুনরায় লেনদেনে ফিরবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। ৫ মে রেকর্ড ডেটের কারণে কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল কোম্পানিটির লেনদেন কেবল স্পট মার্কেটে হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছে পুুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও বাকি সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১২ জুন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ৫ মে।
আলোচ্য হিসাব বছরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে আয় ছিল ৪ টাকা ৯ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা বা ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬৮ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৭ টাকা ৬৫ পয়সা।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২২ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৫৯ পয়সা। ২০২০ হিসাব বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে সমন্বিত এনএভিপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৪ টাকা ১৪ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। ২০১৮ হিসাব বছরে মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে ১৯ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিটি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৭৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার ৯৯৪। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক শূন্য ৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৫৩ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৬ দশমিক ৫৫, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে যা ৫ দশমিক ৪৬।
কোন মন্তব্য নেই