আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞার নেশা বাদ দিতে হবে
তিনি বলেন, ইরান যদিও পরমাণু সমঝোতা থেকে কোন লাভ পায় নি তারপরও এই সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গতকাল (বুধবার) আইএইএর বোর্ড অফ গভর্নর্সের পাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন কাজেম গরিবাবাদি।
তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আমেরিকা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। এরপর আমেরিকার কথিত সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সরাসরি ইরানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে, অথচ পরমাণু সমঝোতার মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন।
ইরানের প্রতিনিধি আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতা ছিল ইরানের জন্য বাণিজ্য ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ কিন্তু আমেরিকা লঙ্ঘনের মাধ্যমে একে অকার্যকর করে ফেলেছে এবং ইউরোপের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। উল্টো এসব দেশ ইরানকে পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
আমেরিকার পক্ষ থেকে পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘনের জন্য কোনোরকম প্রতিবাদ কিংবা নিন্দা না জানানোর কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেন কাজেম গরিববাদি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইরানের কাছ থেকে কেউ গঠনমূলক ভূমিকা আশা করতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই