২০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ই-অরেঞ্জ, কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপ প্রায় ২০০ কোটি টাকার অর্ডার নেওয়ার পর এখন লাপাত্তা। এর মধ্যে মালিকানাও পরিবর্তন করেছে ই-অরেঞ্জ। সে মালিকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি আদেশ অনুযায়ী লকডাউন শিথিল হওয়ায় ১১ আগস্ট থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় খোলার অনুমতি থাকলেও ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ই-অরেঞ্জ গত ১৬ মে থেকে সকল প্রকার ডেলিভারি বন্ধ রেখেছে। লকডাউন শেষ হবার আগের দিন ১০ আগষ্ট ই-অরেঞ্জ ১৬ আগষ্ট ডেলিভারি লিষ্ট দিবে বলে জানায় গ্রাহকদের। কিন্ত গ্রাহক কোন ধরনের আপডেট না পেয়ে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে পাশাপাশি হাজারো গ্রাহক নেমে আসে রাস্তায়।
ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের কাছে একাধিক গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ই-অরেঞ্জ গত ১৬ মে থেকে সকল প্রকার ডেলিভারি বন্ধ রেখেছে। গত ১৮ জুলাই ই-অরেঞ্জ একটি ডেলিভারি তারিখ প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে লকডাউনের দোহাই দিয়ে ডেলিভারি বন্ধ করে দেয় এবং জানায় লকডাউন শেষ হলে ডেলিভারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। লকডাউন শেষ হবার আগের দিন ১০ আগষ্ট তারা আবার নতুন করে ১৬ আগষ্ট ডেলিভারি লিষ্ট দিবে বলে জানায়। আজকে ১৬ আগষ্ট ই-অরেঞ্জ তাদের অফিসিয়াল পেইজে জানায় তাদের পূর্বের বাইক সেলারের সাথে চুক্তি বাতিল করেছে তারা তাই নতুন সেলার পেতে বা নিজেরা বাইক ইম্পোর্ট করতে ৪৫-৬০ কর্ম দিবস লাগবে, তাই যারা বাইক নিতে চায় তাদের অপেক্ষা করতে হবে অথবা রিফান্ড রিকুয়েষ্ট করার করতে হবে। বেশ কিছু গ্রাহক রিফান্ড চেয়ে ফোন করায় তারা বলে ২১ কর্মদিবস লাগবে রিফান্ড পেতে। তখন সরকার নির্ধারিত ১০ দিনের কথা বলায় তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
বিক্ষোভে আসা গ্রাহক হাবিবুর রহমান নামে একজন জানান তিনি ৭টি বাইক অর্ডার করেছেন। গত জুলাই মাসে অর্ডার ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। তারা লকডাউন এই সেই বলে যাচ্ছে। এখন তাদের অফিসে এসে তাদের কাছ থেকে কোন সদুত্তরপাচ্ছি না। তিনি আরো বলেন আমরা জানি ই-অরেঞ্জ ই-ক্যাবের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সেই ভরসায় এতগুলো বাইক অর্ডার করেছি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য কিন্তু বর্তমানে তাদের কার্যক্রম দেখে বুঝতে পারছি না কার কাছে যাবো। তিনি আরো জানান তারা তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মাশরাফিকে রেখেছে দেখে আমরা ভরসা পেয়ে এত এত পণ্য অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমাদের ফাঁদে ফেলতে তারা এই কাজ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই