‘কামিং হোম’ গর্জন থামিয়ে ইতালিয়ানদের উৎসব
ইংল্যান্ড এর আগেও একাধিকবার ‘ফুটবল ঘরে ফেরা’র সম্ভাবনা জাগিয়েছে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর এবারই ‘‘ফুটবল’স কামিং হোম’’ স্লোগানটি গর্জনে রূপ পেয়েছিল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে এই একটি শব্দই ঘুরে বেড়াচ্ছিল। রোববার রাতে রোমাঞ্চকর ফাইনাল টাইব্রেকারে জিতে দ্বিতীয়বার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তুলেছে ইতালি। ওয়েম্বলির ৭০ হাজার দর্শকের মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল ইতালিয়ান। বুকোয়া সাকার নেয়া টাইব্রেকারের শেষ শটটি জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ঠেকিয়ে দিতেই থেমে গেল ‘কামিং হোম’ গর্জন।
ইংলিশ ফুটবলের ‘তীর্থস্থান’ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের বাইরে রোববার দিনের শুরু থেকেই ইংলিশ সমর্থকরা উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করেন। গত অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে বড় দিন যে এটা। ১৯৬৬’র পর আরেকটি বড় ট্রফির জন্য ইংলিশরা অপেক্ষা করে ছিল ২০ হাজার দিন।
কিন্তু রবার্তো মানচিনির ইতালি যে ইতিহাস গড়ার পণ করে এসেছিল ওয়েম্বলিতে। ইউরোর প্রথম শিরোপা জয়ের পর দ্বিতীয়টির জন্য ইতালির মতো এত অপেক্ষা আর কেউ করেনি। ১৯৬৮’র পর ২০২১। ৫৩ বছর। এর আগে অপেক্ষার সবচেয়ে বড় প্রহর গুণেছিল স্পেন। ১৯৬৪ সালে প্রথমবার ইউরোপ সেরা হয় স্প্যানিশরা। ৪৪ বছর পর ২০০৮ এ দ্বিতীয় ইউরো জয়ের স্বাদ পায় তারা।
চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাদ পেয়েছে ইউরো জয়ের। উৎসব আর উচ্ছ্বাসের মাত্রাটা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ইতালিয়ানদের। রোম, নেপলস, মিলান কোথায় ছিল না উৎসবের বাড়াবাড়ি। রাত গড়িয়ে ভোরের আলো ফুটলেও ইতালিয়ানদের উৎসব যেনো ফুরাচ্ছিল না। ইতালির রাজধানী রোমের সব রাস্তায় মধ্যরাতে উৎসবে মেতেছিল ইতালিয়ানরা। তাদের একজন বিয়েত্রিক মাত্তিওলি বলছিলেন, ‘আমরা এখন ইউরোপ সেরা। আমি সারা রাত ধরে আনন্দ করবো।’ স্তেফানো গুচ্ছি নামের আরেকজন সমর্থক জানাচ্ছিলেন নিজের অনুভূতির কথা, ‘এটা অবিশ্বাস্য। এই আনন্দের চেয়ে বেশি কিছু পাওয়া হয়তো সম্ভব নয়।’
কোন মন্তব্য নেই