ভারতের কেরালায় ১৫ জনের দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত, সতর্কতা জারি
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারতের কেরালা রাজ্যে এবার ১৫ জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরই রাজ্যের সব জেলায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। করোনার সঙ্গে জিকার উপস্থিতি দেশটিতে নতুন শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। আজ শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, রাজ্যের ত্রিভেনড্রাম জেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই স্বাস্থ্যকর্মী।
বিবৃতিতে বীনা জর্জ জানান, ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারীর শরীরে। তিনি তামিলনাড়ুর সীমান্তবর্তী একটি শহরের বাসিন্দা। গত ২৮ জুন তিনি জ্বর, মাথাব্যথা এবং চর্মরোগ নিয়ে কেরালার রাজধানী শহর ত্রিভেনড্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত বুধবার একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই নারী। তবে তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং ডেলিভারিও নরমাল হয়েছে। এমনকি রাজ্যের বাহিরে ভ্রমণ করার ইতিহাসও তার নেই বলে জানান বীনা জর্জ। কেরালার স্বাস্থ্য সচিব ড. রাজন খোবরগাদে বলেন, রোগটি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা এবং শক্তিশালী নজরদারির জন্য রাজ্য সরকার আক্রান্ত এলাকায় গবেষক দল পাঠিয়েছে।
১৯৪৭ সালে সর্বপ্রথম উগান্ডার জিকা জঙ্গলে বসবাসরত বানরের কাছ থেকে মানুষের দেহে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে পৃথক ভাইরাস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরের বছর ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গবেষকরা ভারতে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মানুষ খুঁজে পায়। সে সময় ১৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের শরীরে এটি শনাক্ত করা হয়। ২০১৬-২০১৭ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। সাধারণত মশার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। তবে এটি যৌন সংক্রমণের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
সূত্র: বিবিসি।
কোন মন্তব্য নেই