সেরার খেতাব জিতে নায়ক দোন্নারুম্মার ইতিহাস
টাইব্রেকারে পেনাল্টি নেয়ার জন্যই মাঠে নেমেছিলেন জাডোন সানচো ও মার্কাস রাশফোর্ড। দু’জনই ব্যর্থ হয়েছেন। সানচোর শট তো সরাসরি থামিয়েছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পোস্টের নীচে দোন্নারুমার চনমনে মনোভাবে কিছুটা ভড়কে যান রাশফোর্ড। বল মারেন সাইড পোস্টে। দুই পেনাল্টি মিসেও ইংল্যান্ডের শিরোপা স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন জর্ডান পিকফোর্ড। আন্দ্রেয়া বেলোত্তি ও জর্জিনহোর শট দারুণভাবে ঠেকান ইংলিশ গোলরক্ষক। তবে ১৯ বছর বয়সী বুকায়ো সাকা পারেননি দোন্নারুম্মাকে ফাঁকি দিতে।
সেমিফাইনালে স্পেনের বিপক্ষেও টাইব্রেকারে ইতালির নায়ক ছিলেন দোন্নারুম্মা। আলভারো মোরাতার শট আটকে দিয়ে নিশ্চিত করেন ইতালির ফাইনাল। পুরো আসরে তিন ক্লিনশীট। ফাইনালে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ইতালির শিরোপা নিশ্চিত করা দোন্নারুম্মা জিতে নিয়েছেন ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবার কোনও গোলরক্ষকের হাতে উঠলো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১৯৯৬ ইউরো থেকে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেয়ার রীতি শুরু হয়। সাত আসর পর গোলরক্ষকের হাতে উঠলো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ২২ বছর বয়সী দোন্নারুম্মা এসি মিলান থেকে বিনামূল্যে পিএসজিতে নাম লেখানোর অপেক্ষায়। পেশাদার ক্যারিয়ারে কখনই টাইব্রেকারে হারেননি এই ইতালিয়ান। এসি মিলানের জার্সিতে তিনবার এবং জাতীয় দলে দুইবারের সবকটিতেই জয়ের হাসি দোন্নারুম্মার। ইতালির হয়ে দুই টাইব্রেকারই এবারের ইউরোয়। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মতো মঞ্চে দোন্নারুম্মা পেনাল্টি ঠেকিয়ে বনে গেছেন ইতালির নায়ক। টাইব্রেকারে স্নায়ুযুদ্ধে ২২ বছর বয়সী তারকার ধীরস্থির মনোভাব নজর কেড়েছে ফুটবলবিশ্বের। শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ দোন্নারুম্মা। ইউরোয় সবচেয়ে বেশি সময় (৭১৯ মিনিট) মাঠে কাটানো এই গোলরক্ষক বলেন, ‘আমরা এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়িনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়েছি। এই দলটা দুর্দান্ত। যোগ্য দল হিসেবেই আমরা শিরোপা জিতেছি।’
ইংল্যান্ড গোলরক্ষক পিটার পিকফোর্ডের আক্ষেপ হয়ে থাকবে এবারের ইউরো। সবচেয়ে বেশি পাঁচ ম্যাচে ক্লীনশিট রেখেছেন এভারটন গোলরক্ষক। ফাইনালেও নিজেকে উজাড় করে লড়েছেন। শিরোপা জিততে না পারলেও পিকফোর্ডের হাতে উঠেছে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’।
সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনের টিনএজ তারকা পেদ্রি। ১৮ বছর বয়সী বার্সেলোনা মিডফিল্ডার চার আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইউরোয় পা রেখেছিলেন। স্পেনের মাঝমাঠে আলো ছড়িয়েছেন প্রতিটি মিনিট। পেদ্রি তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জেতার পর স্পেন কোচ লুইস এনরিকে বলেন, ‘ইউরো অভিষেক আসরে পেদ্রি যা করে দেখিয়েছে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাও (অভিষেক ইউরোয়) তা পারেননি।’
কোন মন্তব্য নেই