দক্ষিণ আফ্রিকায় দাঙ্গা: ১৪০০ এটিএম বুথ, ৩০০ ব্যাংকের শাখায় লুটপাট - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় দাঙ্গা: ১৪০০ এটিএম বুথ, ৩০০ ব্যাংকের শাখায় লুটপাট



 


ছয় দিনের দাঙ্গায় দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১ হাজার ৪০০টি এটিএম বুথ, ৩০০ ব্যাংকের শাখা এবং পোস্ট অফিসের আউটলেটগুলোতে ব্যাপক লুটপাট করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ও ভাঙচুর করা অটোমেটিক টেলার মেশিন (এটিএম) মেরামত করতে অনেক সপ্তাহ লাগবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে আনুমানিক ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন সেবাগ্রহীতা সরাসরি নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন না।


দাঙ্গার সময় এমটিএম বুথগুলো ভেঙে কয়েক লাখ রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) লুট করা হয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

দেশটির চলমান অর্থনীতি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলেছে।


দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (এসএ বাসা) জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শনিবার থেকে গৌতেং ও কোয়াজুলু-নাটালে ১ হাজার ৪০০টি এটিএম বুথ, প্রায় ৩০০ ব্যাংকের শাখা এবং পোস্ট অফিসগুলোতে ভাঙচুর করে রেন্ড লুট করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দাঙ্গার সময় ১ হাজার ৩০০ ব্যাংকের শাখা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। বাসা জানিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ও পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে হিসাব চেয়েছে।


লুণ্ঠিত রেন্ড বাজারে ব্যবহারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। দাঙ্গায় এটিএম বুথ লুট হয়ে যাওয়া নোটগুলো অকার্যকর বলে ঘোষণা দিয়েছে সাউথ আফ্রিকান ব্যাংক রিস্ক ইনফরমেশন সেন্টার। এসব নোট ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।


সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, এটিএমগুলোতে ক্যাশ সংরক্ষণের জন্য একধরনের কেমিক্যাল থাকে, যা ডাই-দাগ প্রযুক্তি দিয়ে নোটগুলোকে সুরক্ষা দেয়। যা কেউ যখন অবৈধ উপায়ে এটিএম বক্স খোলার চেষ্টা করে, তখন সক্রিয় হয়। একবার সক্রিয় হয়ে গেলে নোটগুলোতে সবুজ রঙের দাগ যুক্ত হয়। ফলে নোটগুলো অকার্যকর মুদ্রা হিসেবে গণ্য হয়ে যায়। দাগযুক্ত নোটগুলোতে সবুজ দাগ দেওয়ার পর এর কোনো আর্থিক মান স্বীকৃত থাকে না, অর্থাৎ এটি মূল্যহীন হয়ে যায়।


এই নোটগুলোর বাহককে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারি আইনের আওতায় আনা হবে। এই এটিএম বুথগুলো লুটের সঙ্গে জড়িত কি না এবং কোনো অবৈধ উপায়ে এ নোটগুলো ওই ব্যক্তির হাতে এসেছে কি না, তা নির্ধারণ করার জন্য বাহককে অবশ্যই তদন্তের মুখোমুখি করা হবে।





কোন মন্তব্য নেই