ফাইভজিতে নেই ‘ক্যানসার’ ঝুঁকি
পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পর এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে অধিকাংশ গবেষক বলছেন, এই নেটওয়ার্কে ক্যানসারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পুরোনো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মতো ফাইভ-জি নেটওয়ার্কও নির্ভর করে এমন এক সিগন্যালের উপর যেটি রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। অ্যানটেনা এবং মোবাইল ফোন সেটের মধ্যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম প্রবাহিত হয়।
এর মাধ্যমে একই সময়ে অনেক মোবাইলে দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এই তরঙ্গ ছড়িয়ে দেবার জন্য অনেক বেশি ট্রান্সমিটার ব্যবহার করতে হয় এবং সেগুলোর অবস্থান হতে হয় মাটির কাছাকাছি।
ফাইভ-জি নিয়ে শুরুতে কয়েক জন গবেষক দাবি করেন, মোবাইল ফোন প্রযুক্তিতে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয় সেটির কারণে বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
তবে ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।
ক্যানসার গবেষক ডেভিড রবার্ট গ্রিমস বিবিসিকে বলেন, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের জন্য যে ধরনের রেডিও ওয়েভ ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়, সেটি শরীরের ডিএনএ ভাঙা এবং কোষ ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।
তিনি জানান, মোবাইল ফোন এবং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের সাথে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি তৈরি হবার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই