অবিবাহিত মহিলারাই সবথেকে সুখী, বলছে সমীক্ষা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

অবিবাহিত মহিলারাই সবথেকে সুখী, বলছে সমীক্ষা





গুরুজনেরা যতই বোঝানোর চেষ্টা করে থাকুন, ‘বিয়েটা মেয়েদের কাছে নিরাপত্তা’ অথবা ‘সংসার ধর্মই মেয়েদের ধর্ম’, আজকের নারীরা তাঁদের পূর্বসূরিদের তুলনায় অনেক বেশি স্বাবলম্বী। বিয়ে আর কোনও ভাবেই তাঁদের কাছে সাফল্যের মাপকাঠি নয়। এবং সমীক্ষাও জানাচ্ছে, অবিবাহিত নারীরাই আদতে বেশি সুখি।



গত শনিবার ২৫ মে ‘হে ফেস্টিভাল’-এ বক্তৃতা দিতে এসে লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস-এর বিহেভিয়ারাল সায়েন্স–এর অধ্যাপক জানিয়েছেন, স্বামী-সন্তানহীন মহিলারাই সবথেকে বেশি সুখী। শুধু সেটাই নয়, সংসারি মহিলাদের তুলনায় দীর্ঘায়ুও হন অবিবাহিত নারীরা। তাঁর মতে, বিবাহিতরা তখনই সুখী থাকেন, যখন তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন। অন্যান্য সময় তাঁদের জীবনকে ‘দুর্বিষহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এই অধ্যাপক। বিয়ে করে উপকৃত হন পুরুষরাই।

সমীক্ষা অনুসারে, বিয়ের পর পুরুষের জীবনে শান্তি এবং স্থবিরতা আসে। এর ফলে তাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা কমে এবং কর্মক্ষেত্রে আয়ও বাড়ে। এতে বৃদ্ধি পায় তাঁদের আয়ুকাল। পাশাপাশি মহিলাদের ক্ষেত্রে, সঙ্গীকে সেবা করে বা সঙ্গ দিয়ে তাঁর নিজের জন্য সময় থাকে না। এতে অবহেলিত হন তাঁরা নিজেরাই। কমে যায় আয়ুকালও।



এর আগেও বেশ কয়েকটি সমীক্ষা দেখিয়েছে, যে অবিবাহিত নারীরা অনেক বেশি সমাজমুখী। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ববিদ এরিক ক্লিনেনবার্থের গবেষণা জানাচ্ছে, যাঁরা একা থাকেন, তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন এমন মানুষদের তুলনায় সামাজিকভাবে অনেক বেশি সক্রিয়। সমাজবিজ্ঞানী নাতালিয়া সার্কিসিয়ান এবং নাওমি গার্স্টেলের গবেষণা অনুসারে, সিঙ্গল মানুষ অনেক বেশি সামাজিক হন এবং মেলামেশা করেন। তাঁদের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক এতটাই দৃঢ় হয়, যে বিপদে আপদে তাঁরা একে অপরকে সাহায্যও করে থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই