ভারতে দ্বিতীয় দফা ভোটেও সেরা মমতার রাজ্য
ভারতে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোট হয়েছে বৃহস্পতবার। এদিন ভোট হয়েছে ১২ টি রাজ্যের ৯৫ টি আসনে। আর কিছু ইভিএম বিপত্তি ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে এদিনের ভোটের। আর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ভোটেও সেরা হয়েছে মমতার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। কেননা প্রথম দফার মত এবারও সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র মতে, দ্বিতীয় দফায় স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৭৫.২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই তুলনায় উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে মাত্রই ৫৮.১২ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ৬১.৫২ শতাংশ, ওড়িশ্যায় ৫৭.৪১ ও ছত্তিশগড়ে ৬৮.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনেও সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে, ৮৩ শতাংশ। এরপরই ভোট কাস্টে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিলো ত্রিপুরা (৮১.৮ শতাংশ), নাগাল্যান্ড (৭৮ শতাংশ), আন্দামান নিকোবর দ্বীপে (৭০.৬৭ শতাংশ) ও সিকিম (৬৯ শতাংশ)।
এছাড়া ১১ এপ্রিল অরুণাচল প্রদেশ ও লক্ষদ্বীপে ৬৬ শতাংশ, ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ, মেঘালয়ে ৬৭.১৬ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ, আসাম ও উড়িষ্যায় ৬৮ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৬৩ শতাংশ, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায় ৬০ শতাংশ এবং উত্তরখণ্ড রাজ্যে ৫৭.৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছিলো।
প্রথম দফা নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিলো বিহারে। মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে এই রাজ্যে। বিহারে কেন এত কম সংখ্যক ভোট পড়ল, তা নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। এছাড়া কাশ্মীর রাজ্যে ভোট পড়েছিলো ৫৪.৪৯ শতাংশ।
এদিকে ভারতের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে আসাম, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে ভোটযন্ত্রে গোলযোগের অভিযোগ বেশি উঠেছে। মহারাষ্ট্রের নানদেড় লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৭৮টি ইভিএমে গোলযোগের অভিযোগ ওঠে। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি তামিলনাড়ুতে ৩৮ আসনে ভোট হয়েছে। ইভিএম বিভ্রাটের খবরও বেশি ওই রাজ্যে, মোট ৫১টি। ওড়িষ্যায় শতাধিক বুথে ইভিএম সমস্যা দেখা দিলেও কমিশন তৎপরতার সঙ্গে তা পাল্টে দেয়। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা সুরেন্দ্র কুমার ৪টি বুথে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটে গোলযোগের কারণে নতুন করে ভোটের সুপারিশ করেছেন।
এছাড়া উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, মথুরা থেকেও ভোটযন্ত্র বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠেছিলো।
এদিন ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিশেষ নির্বাচন পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বলেন, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। চোপড়ায় ভোট নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই মন্তব্য করেছেন পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেও।
তবে ভোটে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক জায়গায় ইভিএম ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এডিজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়েছেন, এদিন আটটি এফআইআর হয়েছে। তিনজনকে নির্দিষ্ট কেসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
সূত্র: আজকাল/ বর্তমান
কোন মন্তব্য নেই