১ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে নেমেছে স্বর্ণের আউন্স
দেড় মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩০০ ডলারের উপরে অবস্থান করছিল। মার্চের শুরুতে মূল্যবান ধাতুটির বাজার পরিস্থিতি বদলে গেছে। বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণের দাম। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে স্বর্ণের আউন্স ১ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের জের ধরে স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর সিনহুয়া ও মার্কেট ওয়াচ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত শুক্রবার স্বর্ণের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ২৮ শতাংশ কমে আসে। দিন শেষে এপ্রিলে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ২৯৯ ডলার ২০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় আউন্সপ্রতি ১৬ ডলার ৯০ সেন্ট কম। বিগত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এদিনই প্রথম স্বর্ণের আউন্স ১ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে নেমে আসে। মন্দাভাবের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আরো কমে ১ হাজার ২৯১ ডলার ৬০ সেন্টে নেমে এসেছে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম।
মেলবোর্নভিত্তিক অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকের এক নোটে বলা হয়েছে, ডলার ও স্বর্ণের দাম বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। একটির দাম বাড়লে অন্যটির কমে যায়। সম্প্রতি মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলার আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের দামে। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো মূল্যবান ধাতুটির দাম আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের মধ্যকার সম্মেলন উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের লাগাম টানতে চীন-মার্কিন উচ্চপর্যায়ের আলোচনা প্রলম্বিত হয়েছে। আলোচনা থেকে পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আশা করা হচ্ছে। এ দুটি বিষয় ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। আর স্বর্ণের দাম কমিয়ে দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই