ফার্মেসি বিভাগে পড়ে ভবিষ্যৎ কি? - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ফার্মেসি বিভাগে পড়ে ভবিষ্যৎ কি?



স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা ফার্মেসি। আর একটু সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ওষুধবিজ্ঞান। ওষুধ তৈরি সকল খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েই এই বিভাগটির বিষয়গুলো ক্রমান্বয়ে সাজানো হয়। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে ওষুধ তৈরি করা, মান নির্ধারণ করা, ব্যবহার করা, বিতরণ করা এবং পরিবেশন করা। তবে এই বিভাগ নিয়ে যারা পড়তে আগ্রহী তাদের মনে প্রথম দিকে কিছু প্রশ্নের দানা বাধে। এই বিভাগে পড়ে ক্যারিয়ারকে কোন দিকে নেওয়া যাবে। যদি এই বিষয়টি জানা না থাকে, তাহলে জেনে নিতে পারেন।

ফার্মেসি বিভাগে পড়ে ক্যারিয়ার কি হবে:

১. দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধের চাহিদা পূরণের জন্য যেসব কোম্পানি সক্রিয়, সেখানে আকর্ষণীয় বেতনে ওষুধের ফর্মুলেশন, উৎপাদন, মান উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ, নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা- বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা কাজ করেন।

২. সরকারি বিভিন্ন কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে উচ্চ বেতনে ফার্মাসিস্ট নিয়োগ নেওয়া হয়।

৩. এই বিভাগ তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যারিয়ার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। সময়ের সঙ্গে এই বিভাগ-সম্পর্কিত চাকরির ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হচ্ছে।

৪. সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মেসি ম্যানেজার বা তথ্য বিভাগে নিয়োগ নেওয়া হচ্ছে।


৫. ফার্মেসিগুলোতে পণ্য ব্যবস্থাপনা, পণ্যের মানোন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে।

৬. বাংলাদেশ সরকারের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

৭. রাজধানীতে ৭টি মডেল ফার্মেসি প্রকল্প চালু হয়েছে। এখানে একজন ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট সরাসরি রোগী বা ওষুধের ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁকে ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান ও বিভিন্ন পরামর্শ দেন। প্রতিটি জেলায় প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে একটি মডেল ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।



ফার্মেসি বিভাগে পড়লে ভবিষ্যৎ কী: 

শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই ফার্মেসি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশে বর্তমানে পোশাক শিল্পের পরেই ফার্মেসি শিল্পের অবদান। দেশে মোট চাহিদার ৯৭-৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বের ১৪০টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন বা এই বিষয়ে গবেষণা, প্রভৃতির জন্য দক্ষ ফার্মাসিস্ট তৈরিতে এই বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম।

এসব ব্যতীত শিক্ষকতা, গবেষণা বা দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো রয়েছেই।

কোন মন্তব্য নেই