বলের আঘাতে অণ্ডকোষ ফেটে গেছে মার্শের
সামনে বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডের টিকেট পেতে নিজেকে প্রমাণ দিতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। আর এমন সময় বড় আঘাতটাই পেলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। নেটে অনুশীলন করার সময় বলের আঘাতে তার শুক্রাশয় (অণ্ডকোষ) ফেটে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শেফিল্ড শিল্ডে খেলার প্রস্তুতি নেয়ার সময় এই আঘাত পান মার্শ। জাতীয় দলের ওয়ানডে ও টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর শেফিল্ড শিল্ডই ছিল মার্শের শেষ ভরসা নিজেকে প্রমাণের জন্য। বিশ্বকাপ এবং অ্যাশেজের আগে এই চোট তাই বড় ধাক্কাই হয়ে আসলো তার জন্য।
মার্শ আঘাত পাওয়ার পরই চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন, তার শুক্রাশয়ের কোন একটি ফেটে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখে চিকিৎসকদের ধারনাই সত্যি হয়েছে।
মার্শ বলেন, ‘ফ্লিকার ব্যবহারের সময় আমাদের এক কোচের ছুঁড়ে দেওয়া বলে আমি আঘাত পাই। সাধারণত অণ্ডথলীতে আঘাত পেলে এটি কয়েক মিনিট ব্যথা অনুভব করায় এবং একসময় ব্যথা মিলিয়ে যায়। কিন্তু আধঘণ্টা পরও আমি ঠিক একই রকম ব্যথা অনুভব করছিলাম।’
আঘাত পাওয়ার পরপরই মার্শকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ক্যান করার পর প্রতিবেদনে জানা যায়, মার্শের এক পাশের শুক্রাশয় ভেঙে বা ফেটে গেছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার জন্য আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা ভাবছিলো আমার একটি টেস্টিকেল (শুক্রাশয়) ভেঙে গেছে। ঐ জায়গাতে স্ক্যান করা হয়। স্ক্যান করার সময় ঐ জায়গা থেকে অনেক রক্তপাত হচ্ছিল। এটি করুণ এক দৃশ্য ছিল।’
তবে এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন মার্শ। তিনি বলেন, ‘দুটো শুক্রাশয়ই ঠিকঠাক কাজ করছে, তাই আশা করি সব ঠিকই আছে।’
চোট কাটিয়ে শেফিল্ড শিল্ডের আগামী রাউন্ডে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান অভিজ্ঞ এ অলরাউন্ডার।
কোন মন্তব্য নেই