ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছবিটি কাঁদাচ্ছে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছবিটি কাঁদাচ্ছে

পাশাপাশি দুটি উঁচু ভবন। মাঝখানে সরু গলির মতো কিছুটা ফাঁক। সেখানেই ফুটফুটে একটি শিশু। ঘাড় বেঁকে মুখটা নিচের দিকে। শরীরে মেজেন্টা রঙের শীতের পোশাক। পরনে বেগুনির ওপর লাল-সাদা স্ট্রাইপের ট্রাউজার। পায়ে গোলাপি রঙের স্যান্ডেল, উপরের অংশে ফুলের কাজ।

ডান হাত সামনে ঝুকিয়ে, বাম হাত একটু পেছনে রাখা। খালি চোখে মনে হবে, শিশুটি শীতে কারও উষ্ণতা পেতে গা এলিয়ে শুয়ে আছে।

আড়াই বছরের শিশুটির নাম হালিমা। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর ভূঁইয়াপাড়ার রাজমিস্ত্রী আমির হোসেনের মেয়ে।



শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়িতেই খেলছিল হালিমা। হঠাৎই তার খোঁজ নেই। খোঁজ পেতে মাইকিং চলার মধ্যে দুপুর পৌনে ১টার দিকে খবর পাওয়া যায়, তার সন্ধান পাওয়া গেছে। ছোট্ট হালিমার নিথর দেহ মিলেছে দুই ভবনের ফাঁকে। মা-বাবাতো পড়িমড়ি করে ছুটে গিয়ে জেলা শহরের ভাদুঘর ভূঁইয়াপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক জানান, নিজ বাড়িতে খেলার সময় নিখোঁজ হয় হালিমা। পরে সন্ধান চেয়ে মাইকিং করা হয়। মাইকিং চলাকালেই স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবার জানতে পারে, তাদের বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে দুটি ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে পড়ে আছে হালিমার দেহ।

জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কোনো রক্ত নেই। তার শরীরের কোথাও কাটে-ছেড়েনি। আমরা ধারণা করছি, হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।’

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশু হালিমার মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে বলে জানান পুলিশের এই পরিদর্শক।

সূত্র : পরিবর্তন 


কোন মন্তব্য নেই