খুলনা আইটি-আইটিইএস চাকরি মেলা-দেড় শতাধিক প্রার্থীর সরাসরি সাক্ষাৎকারে চাকরি
১০ হাজারেরও বেশি নিবন্ধন। জীবনবৃত্তান্ত জমা প্রায় পাঁচ হাজার। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সদ্য স্নাতক ও প্রশিক্ষণ নেয়া হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশীর ভিড়ে গতকাল মুখরিত ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিভাগীয় এ শহরে অনুষ্ঠিত আইটি-আইটিইএস চাকরি মেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামীর নেতৃত্ব প্রদানে আত্মবিশ্বাসী তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।
দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে সহায়তা করতে এ চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের আয়োজনে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এ আয়োজনে সহায়তা করে। মেলায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোরের ১১টিসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪২টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য বাংলার সামনে চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, মেলার বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কারী সহযোগী অধ্যাপক মো. এনামুল হক এবং এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম, এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ, অগমেডিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাশেদ মুজিব নোমান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসান বেনাউল ইসলাম।
রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়। খুলনায় অনুষ্ঠিত এ চাকরি মেলায়ও ছিল দক্ষিণাঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের প্রাধান্য। তাদেরই একজন খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা বৃষ্টি আহমেদ। চাকরি মেলায় সরাসরি সাক্ষাৎকার দিতে এসে তিনি বলেন, বাবা কষ্ট করে আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন। এখন তো মা-বাবার কষ্ট পূরণের পালা। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান লাগিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারব।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুমন দেবনাথ, যশোরের অভয়নগর প্রেমবাগ এলাকার দিপংকর বিশ্বাস, আলিসা আক্তারসহ হাজারো তরুণ-তরুণী মানসম্মত চাকরির আকাঙ্ক্ষা থেকে গতকাল যোগ দেন এ মেলায়। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি থেকে আসা এম খায়রুল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পড়ছেন খুলনা বিএল কলেজে। খণ্ডকালীন চাকরির প্রত্যাশা থেকে তিনি এ মেলায় এসেছেন। জানালেন কোনো কাজ পেলে পড়াশোনাটাও চলবে, পরিবারের ওপর চাপও কমবে।
চাকরি মেলায় দিনব্যাপী চলে সরাসরি সাক্ষাৎকার পর্ব। অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা তাত্ক্ষণিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচন করেন ১৬০ জন প্রার্থীকে। অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয় আরো তিন শতাধিক প্রার্থীকে। প্রাতিষ্ঠানিক চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে তাদের চাকরি দেয়ার নিশ্চয়তা দেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। নির্বাচিত প্রার্থীদের উচ্ছ্বাস মেলার আবহে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।
মেলায় অংশ নেয় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বর্ণ আইটি। প্রতিষ্ঠানটির সিইও উজ্জ্বল বিশ্বাস খুঁজছেন গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েভ ডেভেলপার। মেলায় জমা পড়া জীবনবৃত্তান্ত থেকে পদগুলোয় উপযুক্ত প্রার্থী পেলে নিয়োগ দেবেন বলে জানান তিনি। উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এ চাকরি মেলায় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিই বেশি। আমরাও চাই এ অঞ্চলের প্রার্থীরা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানেই কর্মজীবন শুরু করুক। সেক্ষেত্রে নিয়োগদাতা ও কর্মী উভয়ের লাভ।
মেলায় ডব্লিউ-থ্রি ইঞ্জিনিয়ার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ‘ক্যারিয়ার ইন আইসিটি আউটসাইট ঢাকা’ বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন। আর কাজী আইটির সিইও মাইক কাজীর সঞ্চালনায় পরিচালিত হয় ‘কাজী আইটি রিক্রুটমেন্ট আওয়ার’ শীর্ষক আরেকটি সেশন।
দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে সহায়তা করতে এ চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের আয়োজনে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এ আয়োজনে সহায়তা করে। মেলায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোরের ১১টিসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪২টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য বাংলার সামনে চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, মেলার বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কারী সহযোগী অধ্যাপক মো. এনামুল হক এবং এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম, এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ, অগমেডিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাশেদ মুজিব নোমান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসান বেনাউল ইসলাম।
রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়। খুলনায় অনুষ্ঠিত এ চাকরি মেলায়ও ছিল দক্ষিণাঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের প্রাধান্য। তাদেরই একজন খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা বৃষ্টি আহমেদ। চাকরি মেলায় সরাসরি সাক্ষাৎকার দিতে এসে তিনি বলেন, বাবা কষ্ট করে আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন। এখন তো মা-বাবার কষ্ট পূরণের পালা। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান লাগিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারব।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুমন দেবনাথ, যশোরের অভয়নগর প্রেমবাগ এলাকার দিপংকর বিশ্বাস, আলিসা আক্তারসহ হাজারো তরুণ-তরুণী মানসম্মত চাকরির আকাঙ্ক্ষা থেকে গতকাল যোগ দেন এ মেলায়। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি থেকে আসা এম খায়রুল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পড়ছেন খুলনা বিএল কলেজে। খণ্ডকালীন চাকরির প্রত্যাশা থেকে তিনি এ মেলায় এসেছেন। জানালেন কোনো কাজ পেলে পড়াশোনাটাও চলবে, পরিবারের ওপর চাপও কমবে।
চাকরি মেলায় দিনব্যাপী চলে সরাসরি সাক্ষাৎকার পর্ব। অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা তাত্ক্ষণিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচন করেন ১৬০ জন প্রার্থীকে। অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয় আরো তিন শতাধিক প্রার্থীকে। প্রাতিষ্ঠানিক চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে তাদের চাকরি দেয়ার নিশ্চয়তা দেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। নির্বাচিত প্রার্থীদের উচ্ছ্বাস মেলার আবহে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।
মেলায় অংশ নেয় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বর্ণ আইটি। প্রতিষ্ঠানটির সিইও উজ্জ্বল বিশ্বাস খুঁজছেন গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েভ ডেভেলপার। মেলায় জমা পড়া জীবনবৃত্তান্ত থেকে পদগুলোয় উপযুক্ত প্রার্থী পেলে নিয়োগ দেবেন বলে জানান তিনি। উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এ চাকরি মেলায় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিই বেশি। আমরাও চাই এ অঞ্চলের প্রার্থীরা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানেই কর্মজীবন শুরু করুক। সেক্ষেত্রে নিয়োগদাতা ও কর্মী উভয়ের লাভ।
মেলায় ডব্লিউ-থ্রি ইঞ্জিনিয়ার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ‘ক্যারিয়ার ইন আইসিটি আউটসাইট ঢাকা’ বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন। আর কাজী আইটির সিইও মাইক কাজীর সঞ্চালনায় পরিচালিত হয় ‘কাজী আইটি রিক্রুটমেন্ট আওয়ার’ শীর্ষক আরেকটি সেশন।
কোন মন্তব্য নেই