ইসলামী ব্যাংকের বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো ১০ হাজার কোটি টাকা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ইসলামী ব্যাংকের বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো ১০ হাজার কোটি টাকা

 

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শরিয়াহ-ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথমবারের মতো বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে ঐতিহাসিক মাইলফলক ছুঁয়েছে।


বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন,শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির শেয়ার দরে বড় উল্লম্ফন হওয়ায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। যদি ব্যাংকটি এস আলম গ্রুপের লুটপাটে প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


ইবিএল সিকিউরিটিজের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার আজ ৯.০৩ শতাংশ বেড়েছে ৬৪ টাকায় পৌঁছেছে। এমন বৃদ্ধি ব্যাংকটির বাজার মূলধনকে ১০ হাজার ৩০৩ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। বর্তমানে কোম্পানিটি ডিএসইতে বাজার মূলধনের সপ্তম বৃহত্তম কোম্পানি।


১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধনের অন্য ৬ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোন, বিএটি বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়ালটন, রবি আজিয়াটা এবং বেক্সিমকো লিমিটেড।


তালিকার শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন, যার বাজার মূলধন ৪৭ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।


ব্র্যাক ব্যাংক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংককে ছাড়িয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে দামি শেয়ার।


গত ০৬ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষকরা এই উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতির জন্য তিনটি মূল কারণকে দায়ী করেছেন। যেগুলো হলো- এস আলম গ্রুপ থেকে ব্যাংকের বিচ্ছিন্নতা, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) থেকে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ এবং ব্যাংকে শেয়ার বাড়ানোর জন্য বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের প্রচেষ্টা।


এই বিষয়ে একটি ব্রোকারেজ হাউজের এক কর্মকতা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন যে ইসলামী ব্যাংকের ১০-১৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জনের জন্য আইএফসি’র সঙ্গে আলোচনা চলছে। যা ব্যাংকটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করতে পারে। আলোচনা সফল হলে ব্যাংকটিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আবর ফিরে আসবে।


বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের নতুন করে আগ্রহ তৈরি রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, এস আলম গ্রুপ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকটির অবস্থার উন্নতি হবে।


তবে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন আগামী মাসে প্রকাশ করা হবে। এতে ব্যাংকটিতে এস আলম গ্রুপের লুটপাটের কিছু চিত্র হয়তো দেখা যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই