ভারতেও এমটিএফই’র জালিয়াতির শিকার হাজার মানুষ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ভারতেও এমটিএফই’র জালিয়াতির শিকার হাজার মানুষ

 

এমএলএম ব্যবসার নামে প্রায় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই)। এমএলএম কোম্পানির এই প্রতারণায় জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। ভারতেও এমটিএফই’র জালিয়াতির শিকার হাজার মানুষ।


পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, ছত্তিশগড়, আসামসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে নামসর্বস্ব কোম্পানিটি। হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি রুপি। অনলাইনভিত্তিক অ্যাপ এমটিএফইর মাধ্যমে সর্বস্বান্ত ভারতের হাজার যুবক। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পুরো বিষয়টি খোলাসা হবার পর অনেক বিনিয়োগকারী লগ্নি করা অর্থ তুলে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিনিয়োগকারীদের দাবি, কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বিনিয়োগকারী থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত পঞ্চাশ কোটি রুপি।


ঘটনার পর থেকে বিক্ষোভের মুখে গা ঢাকা দিয়েছেন সিইওরা। এক ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারী বলেন, প্রথম প্রথম আমাদেরকে প্রফিটের টাকা দেয়া হয়েছিল। শেষ সময়ে এসে যখন প্রচুর পরিমান কাস্টমার হয়ে গেছে, যখন সবাই কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেছে, তখন টাকাটা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে তারা। বাংলাদেশেও প্রতারণা করে ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।




আরেক বিনিয়োগকারীর বক্তব্য, আমার নিচে (ক্রম তালিকায়) আছে দেড়শ’র বেশি মানুষ। তার নিচে আরও আছে। এভাবে গ্রামের মানুষ কয়েক কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছে। যারা ভ্যানচালক তারাও ইনভেস্ট করেছে। এখন টাকার দায়ে কেউ কেউ সুইসাইড করতে যাচ্ছে।


এমটিএফই’র জালিয়াতি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরব বাংলাদেশি গণমাধ্যমগুলো। এসব খবর দেখেই টনক নড়ে ভারতের বিনিয়োগকারীদের। পরবর্তীতে, একাধিকবার অর্থ তুলে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। উপায় না দেখে দুই সিইওর বিরুদ্ধে করেন বিক্ষোভ।


আরেকজন ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের গ্রামের অনেকেই এমটিএফইতে ইনভেস্ট করেছে। তারা যখন টাকা উইথড্র না হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছে, তাদেরকে বুঝ দেয়া হয়েছে সার্ভারের সমস্যা বলে। সেখানকার বিনিয়োগকারীদের ধারণা, জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন দুই সিইওসহ দায়িত্বরতরা।


প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশে প্রথম নজরে আসে এমটিএফইর প্রতারণার বিষয়টি। ওইদিন পুরোপুরিভাবে এমটিএফই তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দেয়। এমটিএফই দাবি করেছিল, তারা কানাডায় নিবন্ধিত সংস্থা। এর কার্যক্রম শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও ভারতেও ছড়িয়ে ছিল। এসব দেশের ব্যবহারকারীদেরও পরিণতি একই।


বিনিয়োগ যত বেশি, লাভের পরিমাণও তত বেশি দিতো অ্যাপটি। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আবার মাঝে মাঝে লোকসান দেখানো হতো। এই মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি (এমটিএফই) বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে ২০২১ সালে। তিন বছরে এমটিএফইতে শুধু বাংলাদেশ থেকেই ৪২ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই