ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে ন্যাটো - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে ন্যাটো

 

ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখ সেনা মোতায়েনের জবাবে পূর্ব ইউরোপে হাজার হাজার সেনা, যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধ জাহাজ পাঠাচ্ছে ন্যাটো ভুক্ত দেশ গুলো। রাশিয়া বারবার অস্বীকার করলেও দেশটি ইউক্রেন আক্রমণ করবে বলে আশঙ্কা করছে পশ্চিমা দেশগুলো।


বাল্টিক অঞ্চলের আকাশসীমায় ন্যাটোর “এয়ার পুলিসিং” মিশনকে শক্তিশালি করতে চারটি ডেনিশ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান লিথুয়ানিয়ায় অবতরণ করেছে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখলের পর নেটো এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে চার থেকে পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করে। যাকে তারা “এনহ্যান্সড ফরোয়ার্ড প্রেজেন্স” (বর্ধিত সম্মুখ উপস্থিতি) হিসেবে অভিহিত করেছে।


উক্রেনে পাঠানোর জন্য ৮ হাজার ৫০০ সৈন্য প্রস্তুত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর বেশির ভাগই জার্মানি ও ব্রিটেনে। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু সেনাকে পূর্ব ইউরোপের নেটো মিত্রদের কাছে ক্রমান্বয়ে স্থানান্তর করা হতে পারে।


এদিকে ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্র ফ্রান্স রোমানিয়ায় কয়েকশ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে। ২৭ জানুয়ারী বুখারেস্ট ভ্রমণকালে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেন, “গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যেমন বলেছিলেন, আমরা বাল্টিক রাষ্ট্রসমূহে নেটো মিশনে আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের নিরাপত্তায় আগেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও রাখব”।


আবার স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিও তাদের পূর্ব ইউরোপীয় মিত্র দেশে সেনা, যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।


ব্রিটেন ইউক্রেনে প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং তার নেটো মিত্রদেশে ইতিমধ্যে নিয়োজিত ১ হাজার ১৫০ সেনার দ্বিগুণ সংখ্যক সেনা সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এই সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরের কথা রয়েছে এবং তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও ফোনে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, “আমি মনে করি সেনা মোতায়েন অতীব জরুরি এই অর্থে যে, এটি পুতিনের জন্যে হুঁশিয়ারি বার্তা স্বরূপ। আর বার্তাটি হলো ইউক্রেনের মতো একটি সার্বভৌম দেশকে আক্রমণ করার কৌশলগত ভুলের ফলাফল হবে ভীতিকর”।

কোন মন্তব্য নেই