ন্যাফথা থেকে দ্রাবক উৎপাদন করছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ন্যাফথা থেকে দ্রাবক উৎপাদন করছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল


ন্যাফথা থেকে উচ্চমানের দ্রাবক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি গত ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ন্যাফথা থেকে উচ্চমানের দ্রাবক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, তারা ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জাপানে নির্মিত নিজস্ব মালিকানাধীন তেল ট্যাংকারের মাধ্যমে ন্যাফথার (কাঁচামাল) প্রথম পার্সেল পেয়েছে। এই তেল ট্যাংকার ন্যাফথার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে।


এর আগে কোম্পানিটি দুই হাজার ৭৩ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাপানে তৈরি একটি তেল ট্যাংকার কেনার জন্য মেসার্স এমএ বাশার অ্যান্ড ব্রাদার্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। মূলত এই তেল ট্যাংকারের মাধ্যমে কোম্পানিটি ন্যাফথার গুণগত মান, পরিমাণ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ন্যাফথা আনতে বহন বাবদ যে খরচ হয়, সেটি অনেকটাই সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ট্যাংকারটির মাধ্যমে অন্যান্য কোম্পানির পণ্য পরিবহন করে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটির মাদার ভেসেল বা মূল জাহাজ থেকে স্টোরেজ ট্যাংকে কনডেনসেট পরিবহনেও এ তেল ট্যাংকারটি ব্যবহার করতে পারবে এবং এটি কনডেনসেটের পরিবহন খরচও বাঁচাবে।


এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৯ পয়সা বেড়েছে। তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ১৭ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২৩ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৬৩ পয়সা (ঘাটতি); অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল তিন টাকা ৫৩ পয়সা।


কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।


কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান)।

কোন মন্তব্য নেই