ক্রয় চাপে সব খাতেই ভালো লেনদেন - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ক্রয় চাপে সব খাতেই ভালো লেনদেন

 

চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বেড়ে লেনদেন হয়েছে। বেড়েছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও। বিক্রেতাদের সক্রিয়তায় দর বৃদ্ধি দেখা গেছে সিংহভাগ খাতে। এরই মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের পর ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে শেয়ারবাজার।


চলতি বছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারায় লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে। ফলে এ সময়ের মধ্যে মূল্য বৃদ্ধি হওয়া শেয়ারের দর সংশোধনের আভাস মেলে গত সপ্তাহে। ওই সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই সূচকের পতন হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।


এদিকে বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন ভালো আয়ের খবরেও যখন গত রোব ও সোমবার পুঁজিবাজারে পতন হয়, তখন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে, এটি দর সংশোধন নাকি ‘জুজুর ভয়ে’ প্যানিক সেল হচ্ছে। তবে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট; যা দর সংশোধনকেই ইঙ্গিত করে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।


গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৯টির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির। আর দর অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টির। এর প্রভাবে সূচক বেড়ে ডিএসইএক্সের অবস্থান ৬ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে। এছাড়া অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১৫ ও ডিএস৩০ সূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়েছে।


মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গেলেও পরে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কমতে থাকে। তবে এরপর থেকে টানা উত্থান দেখা দেয়ায় নতুন করে দর সংশোধনের চাপ কাটে বিনিয়োগকারীদের। ফলে আগের দিনের চেয়ে বেড়ে ১৩৭ কোটি টাকা বেড়ে লেনদেন দাঁড়ায় এক হাজার ৩৫২ কোটি টাকায়। সোমবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২১৫ কোটি টাকা।


লেনদেন সবচেয়ে বেশি ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ অবদান রেখেছে প্রকৌশল খাত। এছাড়া বিবিধ খাত ১৪ দশমিক ০৬ শতাংশ, বস্ত্র ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন ১০ দশমিক ১২ শতাংশ ও সিমেন্ট খাতে সাত দশমিক ১৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। আর কোনো খাতের লেনদেন সাত শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি।


প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ভালো দিন গেছেÑবস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিবিধ, আর্থিক, খাদ্যে। লেনদেনে শতভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের। তবে সাধারণ বিমা খাতের ২৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। সেবা ও আবাসন, কাগজ ও প্রকাশনা, টেলিকম খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। সিমেন্ট খাতেও একটি ছাড়া বাকি সবগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে।


সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর এতে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। টেলিকম খাতের রবির শেয়ার দর ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচক বেড়েছে ৭ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর ২ দশমিক ০৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। পাওয়ারগ্রিডের শেয়ারদর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। সূচক বৃদ্ধিতে ডেসকোর অবদান ছিল ২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট। এছাড়া ডেল্টা লাইফ, আর এ কে সিরামিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, রেনাটা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪২ পয়েন্ট।


অন্যদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর শূন্য ৩৭ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। লিনডেবিডি, ফরচুন সুজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, বীকন ফার্মা, সামিট পাওয়ার, আইসিবি ও এনভয় টেক্সটাইল সূচক কিছুটা কমিয়েছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট।

কোন মন্তব্য নেই