জরুরি অবস্থা শেষে চালু হচ্ছে জাপানের অর্থনীতি - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

জরুরি অবস্থা শেষে চালু হচ্ছে জাপানের অর্থনীতি


শুক্রবার থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হচ্ছে জাপানের কভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি বিধিনিষেধ। এপ্রিলের পর জাপানজুড়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনো ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ ব্যতীত এটিই প্রথম দিন। এর আগে কভিড-১৯-এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে জাপানজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। রাজধানী টোকিওসহ জাপানের ১৮টি প্রদেশে এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি সাময়িক জরুরি অবস্থার অবসান ঘটেছে দেশটিতে। জাপানজুড়ে কভিড-১৯ সংক্রমণের হার হ্রাস পাওয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়ার ফলে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর নিক্কেই এশিয়া।


সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পাশাপাশি জনগণকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন কোনো ধরনের সংক্রমণ রোধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জাপান সরকার। এ অবস্থায় রেস্টুরেন্ট ও থিম পার্কের মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোর নির্বাহীরা আশা প্রকাশ করছে যে, তারা পুনরায় আগের মতো গ্রাহক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবেন।


জরুরি অবস্থার সময় জনগণকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণায় বর্তমানে জাপানের পর্যটন খাত অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ও ভ্রমণকালীন বাসস্থানের জন্য বুকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ করছেন।


বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ঘোষণার পর অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ কোম্পানি আনুমানিক ৫০ হাজার বুকিং গ্রহণ করেছে, যা গত মাসের তুলনায় ১০ গুণ বেশি বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। গত বুধবার জাপান সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরের দিন এ তথ্য জানায় তারা। এ সময় টোকিওর ডিজনি থিম পার্ক এবং ইউনিভার্সাল স্টুডিওজ জাপান দৈনিক হিসাবের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শনার্থীর বুকিং রেকর্ড করেছে। আগে এসব পার্কের দৈনিক দর্শনার্থী পাঁচ হাজার থাকলেও বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর তা ১০ হাজার পর্যন্ত স্পর্শ করছে বলে জানায় তারা।


জরুরি অবস্থার মধ্যে জনগণকে অপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এ সময় রেস্টুরেন্টগুলো রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছিল একই সঙ্গে অ্যালকোহল পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।


বিধিনিষেধ প্রত্যাহার নিয়ে শিমবাসিতে অবস্থিত এক রেস্টুরেন্টের ৮০ বছর বয়স্ক মালিক আতসুরি মাতসুদা বলেন, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আমি এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।


বিধিনিষেধ চলাকালে প্রায় এক মাসজুড়ে সরকার ও প্রশাসন রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য ডাইনিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এ সময় টোকিওতে যেসব প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পেরেছে, তারা রাত ৯টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট ও বার খোলা রাখতে পারত।

কোন মন্তব্য নেই