পাক-আফগান ম্যাচে ফিক্সিং!
ম্যাচটি ছিল আফগানিস্তানের হাতেই। দলের প্রধান শত্রু তাদের অধিনায়ক গুলবাদিন নায়িব। পাড়ার ক্রিকেটের মতো সে ওপেনিং ব্যাটসম্যান এবং ওপেনিং বোলার! বলে বেধড়ক পিটুনি খেয়েও সে একের পর এক বল করে দলকে ডুবিয়েছে এবং শেষ ওভারও করলো! সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই অভিযোগ করেছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের। আফগানদের খেলা দেখে অনেকেই বলছেন তারা যেন জিততে নয় পাকিস্তানকে জেতাতে বেশি উদগ্রীব ছিল।
পাকিস্তান বল ভালো করেছে। যদিও আফগানিস্তানের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে বোলিংকে ততটাও ভালো বলা যায় না। কিন্তু আফগানিস্তান বোলিংয়ে শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে। একটা সময় আফগানিস্তানেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল।
কিন্তু শেষদিকে মনে হলো, আফগানিস্তান যেন জোর করে পাকিস্তানকে জিতিয়েছে। অনেকে তো ম্যাচ ফিক্সিংয়েরও অভিযোগ তুলেছে। শেষদিকে একের পর এক ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিস দিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন যেভাবে শেষ ওভার বল করেছেন, সহজ একটি রান আউট মিস করেছেন। তাতে অনেকে এই ম্যাচের শেষের ভাগ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে।
আফগানিস্তানের বাজে ক্রিকেটের জন্য ম্যাচ টান টান উত্তেজনাপূর্ণ হয় শেষদিকে। ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগোলো পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তানের দেয়া ২২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পাড়ি দেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে অপরাজিত (৪৯) রান করেন ম্যাচ জয়ের নায়ক ইমাদ ওয়াসিম।
বিশ্বকাপের ৩৬তম ম্যাচে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকটে হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে আসগর আফগান ও নাজিবউ্ল্লাহ জাদরান দুজনের ব্যাট থেকে আসে (৪২) রান করে।
এই জয়ের ফলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দলটি পৌঁছে গেল টেবিলের চার নম্বরে। সেই সাথে সেমিফাইনালের পথটা কঠিন সমীকরণে পড়ে গেল বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার।
কোন মন্তব্য নেই