কেমন কাটলো মাশরাফিদের ডিপিএল
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে (ডিপিএল) জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অংশ নেননি। আইপিএলের জন্য সাকিব আল হাসান পাড়ি জমান ভারতে। মুশফিকুর রাহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালকে দেয়া হয় বিশ্রাম। এক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছাড়া সবকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি আর কেউ। ব্যাটে-বলে তাদের পারফরমেন্স কেমন ছিলো, চলুন দেখে নেয়া যাক।
ডিপিএলের এবারের আসরে শীর্ষ ১০ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যানের তালিকায় নেই জাতীয় দলের কেউ। ১৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে ৫১১ রান করা সৌম্য আছেন ১২ নাম্বারে, আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরিতে করেন ৪৮৮ রান। লীগ পর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় নবম স্থানে ছিলেন তিনি।
সুপার লীগ শেষে তিনি নেমে যান ১৪ নাম্বারে।
খুব একটা মন্দ করেননি মোহাম্মদ মিঠুন। ১০ ম্যাচে ৪৬ গড়ে তার সংগ্রহ ৩২২ রান। সাব্বির রহমান ১৪ ম্যাচে ৩১.৭০ গড়ে ৩১৭ ও ওপেনার লিটন দাস ৮ ম্যাচে ৩৫.৮৭ গড়ে ২৮৭ রান করেন। জাতীয় দলের বাইরে থেকেও আলোচনায় থাকা ইমরুল কায়েস খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন তিনি। টানা তিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলোড়ন তুলেন জাতীয় দলে বাইরে থাকা আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে তার রান দাঁড়ায় ৫৫২।
শীর্ষ উইকেট শিকারি বোলারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১৩ ম্যাচে ১৯.৮৪ গড়ে ২৫ উইকেট শিকার করেন আবাহনী তারকা। এর মধ্যে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২ বার। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আবাহনীর হয়ে ১৪ ম্যাচে ২৪.৬৬ গড়ে ২১ উইকেট নিয়েছেন আবাহনী পেসার। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন একবার। এছাড়া সৌম্য সরকার ১৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট, মোসাদ্দেক হোসেন ১৬ ম্যাচে ১২ উইকেট, আবু জায়েদ রাহী ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১২ উইকেট। ইনজুরি আক্রান্ত মোস্তাফিজুর রহমান ১ ম্যাচে ৩ উইকেট আর রুবেল হোসেন ৬ ম্যাচে ৭ উইকেট শিকা করেন। আর চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ৩ ম্যাচে নেন ৬ উইকেট।
কোন মন্তব্য নেই