টেনিস ফেডারেশনে হচ্ছেটা কি - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

টেনিস ফেডারেশনে হচ্ছেটা কি



এক সঙ্গে ফেডারেশন থেকে কোচের চাকরি ছাড়ছেন বেশ কয়েকজন। অনেক কর্মকর্তা ফেডারেশনে আসছেন না। তাদের অভিযোগ, ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারিতায় তারা ফেডারেশনে আসা ছেড়ে দিয়েছেন। যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ সেই  সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ বোমা ফাটালেন। তার দাবি, ফেডারেশনকে বসতবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন অনেকে। এটা ছাড়তে চাইছেন না। এখানে মদ-তাস নিয়ে পড়ে থাকেন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, পর্যাপ্ত বেতনাদি না পেয়ে চীন যাচ্ছেন রিফাত সিং, আকতার হোসেন রানার মতো অনেকে। এদের মধ্যে রিফাত সিং বলেন, ‘‘একজন কোচের মাসের তিন হাজার টাকা দিয়ে কী হয়? চীনে গিয়ে যদি ৭০ হাজার টাকা পাই এবং সঙ্গে একটি ফ্ল্যাট পাই- তাহলে কেন এখানে পড়ে থাকবো? তাছাড়া বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ প্রথম দিকে ভালো ব্যবহার করলেও এখন রূঢ় ব্যবহার করেন।
কোচদের বিরুদ্ধে একজন আরেকজনকে উসকে দেন। উনি বলেন, ‘বেতন বাড়ানো যাবে না। এভাবে থাকলে থাকো।’ তিন হাজার টাকা দিলেও মানা যেত, যদি উনার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পেতাম।’’ রিফাত সিং প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমাদেরকে দেয়া অর্থ ফেডারেশনে নেই, তাহলে খেলোয়াড়দের বিদেশে পাঠান কীভাবে?’ একই কথা আরেক কোচ আকতার হোসেন রানারও। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন গোলাম মোরশেদ। তিনি বলেন, ‘টেনিসে কখনোই পেশাদার কোনো কোচ ছিলো না। প্লেয়াররাই কোচ হিসেবে কাজ করেন। ফেডারেশনেরও কোচদের বেশি পরিমাণ অর্থ দেয়ার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া এরাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোচ হিসেবে খেলা শেখান। সেখান থেকে ভালো টাকা পান। আমাদের যদি বেশি অর্থ দেয়ার ক্ষমতা থাকতো, তাহলে বিদেশ থেকেই পেশাদার কোচ আনতাম।’ কর্মকর্তাদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘টেনিস ফেডারেশনে বসবাস করছেন অনেকেই। তারা মনে করে এখানে ঢুকেছি যখন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এখান থেকে বের হবো না। আমি তাড়াতে গেলেও দেখি, উপরের মহল থেকে ফোন করেন অনেকেই। আমি কিছু বললেই শাসানো হয়। কারণ এখানে আটটি ঘর রয়েছে। থাকছেন গায়ক, বাদকরা। অথচ আমি উচ্ছেদ করতে পারছি না এদের।’ দায়িত্ব নেয়ার পরের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি আমাকে দায়িত্ব দেন এই অ্যাডহক কমিটির। এসে দেখি, ফেডারেশনে অনেকেই তাস পেটায়। মদ্যপান করে। আমার রুমের আশপাশ থেকে ৮৬টি মদের বোতল উদ্ধার করেছি। ফেডারেশনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করেছি। পরিবেশ ঠিক করার চেষ্টা করি। ১১ টন ময়লা ফেলেছি টেনিস ফেডারেশন থেকে। অনেক সময় আমাকে অস্ত্র তাক করে মারতে এসেছে অনেকে। এক প্রকার যুদ্ধ করতে হয়েছে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে।’ 


ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গ টেনে গোলাম মোরশেদ বলেন, কর্মকর্তাদের অনেকেই ২০ বছর ধরে রয়েছেন ফেডারেশনে। তাদের অনেকেই ছয় মাসেও আসেন না। কমিটির উনারা আগেও আসতেন না, এখনো আসেন না। ন্যাশনাল প্লেয়ারদের ক্লাবকে তারা চাকরের মতো ব্যবহার করেন। আমি এর বিরুদ্ধে কথা বলায় এখন শত্রু হয়ে গেছি। 

কোন মন্তব্য নেই