কর্ণফুলী নদীতে চলবে ‘ওয়াটার বাস’ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

কর্ণফুলী নদীতে চলবে ‘ওয়াটার বাস’




চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট ও ভোগান্তি কমাতে এবার নদীপথে যাত্রীবাহী ‘ওয়াটার বাস’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে বিমান যাত্রীদের সহজতর যাতায়াতের সুবিধার্থে চট্টগ্রামে এই প্রথম কর্ণফুলী নদীতে চালু হচ্ছে ওয়াটার বাস।

দ্রুত সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে নগরের সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট পর্যন্ত এ সার্ভিস চলবে। মূল শহর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কের মোড়ে মোড়ে মাত্রাতিরিক্ত যানজটে পড়া যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে বিকল্প রোড হিসেবে নদীপথে এ বাস চলাচল করবে।

এ বিষয়ে দেশের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নৌ প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘জুনে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো কর্ণফুলী নদীতে ওয়াটার বাস চালু হবে। বর্তমানে জাহাজে বিমানবন্দর থেকে সদরঘাট যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে জুন থেকে ২০ মিনিটে ওয়াটার বাসে এ পথ পাড়ি দেওয়া যাবে। আমরা দ্রুতগতি সম্পন্ন চারটি ওয়াটার বাস নির্মাণ করছি। ৩০ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতার চারটি বাস দিয়ে সার্ভিসটি শুরু করতে চাই।’

বন্দর সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৩০ আসনের দ্রুতগতির চারটি ওয়াটার বাস নামানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়াটার বাস নির্মাণের কাজও শুরু করেছে। এজন্য চিটাগাং ড্রাইডকের সঙ্গে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিনের সাথে চুক্তিও সম্পন্ন করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ‘সদরঘাট থেকে ওয়াটার বাসে নির্বিঘ্নে যাওয়া যাবে, ঠিক আছে। কিন্তু সদরঘাট পর্যন্ত যাব কীভাবে? সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা না আনলে ওয়াটার বাস চালুর সুফল তো পাওয়া যাবে না।’

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ওয়াটার বাস পরিচালনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সদরঘাটের সি-রিসোর্সেস কোম্পানির পূর্বপাশে যাত্রীদের সুবিধার্থে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। ওয়াটার বাস তৈরির জন্য চট্টগ্রাম ড্রাইডককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই বিমানযাত্রীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।



সংশ্লিষ্ট সূত্রের ভাষ্য, নগরীর সদরঘাট থেকে বিমান যাত্রীরা লাগেজসহ ওয়াটার বাসে চড়বেন। পতেঙ্গায় বিমানবন্দরের কাছে নদীতে পল্টুন স্থাপন করা হচ্ছে। সেখানেই বিমান যাত্রীদের চেকইন করা হবে। যাত্রীদের লাগেজ সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট কোম্পানির ভ্যানে চলে যাবে। যাত্রীদেরকে সেখান থেকে মিনিবাসের মাধ্যমে বিমানবন্দরে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে যাত্রীদেরকে ঘাট থেকে লাগেজ নিয়ে টানাটানি করতে হবে না।

সূত্র: ইউএনবি

কোন মন্তব্য নেই