‘প্লেনের’ চেয়েও লম্বা পথ পাড়ি দেয় যেসব প্রাণী - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

‘প্লেনের’ চেয়েও লম্বা পথ পাড়ি দেয় যেসব প্রাণী



মানুষ দূরের যাত্রায় পাড়ি দেয় প্লেন, ট্রেন বা বাসে চড়ে। জেন নিন এমন দশটি প্রাণী সম্পর্কে, যারা মানুষের চেয়ে ঢের লম্বা পথ পাড়ি দেয় কোনো যানবাহন ছাড়াই।

১. আর্কটিক টের্ন (৭১,০০০ কিলোমিটার)
মাত্র ১১৩ গ্রাম ওজনের এই পাখিটি কীভাবে বিশ্বের সব প্রাণীদের চেয়ে লম্বা পথ পাড়ি দেয়, তা বিজ্ঞানীদের কাছে এক বিস্ময়। আর্কটিক সার্কল থেকে তার যাত্রা শুরু করে অ্যান্টার্কটিক সার্কলে গিয়ে পৌঁছয় এই পাখিটি।

২. সুটি শিয়ারওয়াটার (৬৫,০০০ কিলোমিটার)
দেখতে অনেকটা পায়রার মতন এই পাখি নিউজিল্যান্ডের আশেপাশে পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ৯০০ থেকে ১,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম।

৩. হাম্পব্যাক তিমি (২৩,০০০ কিলোমিটার)
স্তন্যপায়ী এই জীবের রয়েছে সবচেয়ে দীর্ঘ অভিবাসনের রেকর্ড। এই প্রজাতির তিমি মাছ বিশ্বের পাঁচটি মহাসাগরকেই ছুঁয়ে যায়।



৪. নর্দার্ন এলিফ্যান্ট সিন্ধুঘোটক (২১,০০০ কিলোমিটার)
ক্যালিফোর্নিয়ার অধিবাসী এই সিন্ধুঘোটক তার যাত্রা এখান থেকে শুরু করে বছর ঘুরে আবার একই স্থানে ফিরে আসে। গড়ে ২১,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া এই প্রাণীটি বছরের বেশ কিছু মাস সমুদ্রে বাস করে।

৫. লেদারব্যাক কচ্ছপ (২০,০০০ কিলোমিটার)
সমুদ্রে বাস করা এই কচ্ছপটি প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর অনায়াসেই পাড়ি দেয়। খাবারের খোঁজে এই কচ্ছপটি আটলান্টিক মহাসাগরের এক প্রান্ত থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার পাশের প্রশান্ত মহাসাগরে এসে জেলিফিশ শিকার করে।

৬. ড্রাগনফ্লাই বা ফড়িং (১৭,০০০ কিলোমিটার)
ফড়িংয়ের কিছু বিশেষ প্রজাতি চার প্রজন্ম ধরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় উড়ে বেড়ায়। শীতকালে এরা দক্ষিণ এশিয়ার দিকে উড়ে আসতে শুরু করে। মোনার্ক প্রজাপতির মতো এরাও হাওয়া ও পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তির সাহায্যে দিক নির্ধারণ করে।

৭. সেমিপালমেটেড স্যান্ডপাইপার (৫,৩০০ কিলোমিটার)
সমুদ্রের ধারে বাস করে এই পাখি। শীতকাল শুরু হওয়ার ঠিক আগেই মূল বাসস্থান ক্যানাডা ছেড়ে আমেরিকার দক্ষিণের উদ্দেশে উড়াল দেয় এই পাখি। ঝাঁক মেনে চলা পাখিটি একবারে গোটা আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

৮. রেইনডিয়ার (৫,০০০ কিলোমিটার)
ইউরোপ, এশিয়া আর উত্তর আমেরিকার শীতল অঞ্চলে পাওয়া যায় এই রেইনডিয়ার। বরফ গলা শুরু হলে সবুজ ঘাসের আশায় একদিনে ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে এই জন্তুটি।

৯. মোনার্ক প্রজাপতি (৪,৮০০ কিলোমিটার)
মূলত কানাডা আর উত্তর আমেরিকার নিবাসী এই প্রজাপতি শীতকাল আসার আগেই হাজার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পার করে এসে পৌঁছায় মেক্সিকোতে। মাত্র কয়েক মাস বাঁচতে পারা এই বিশেষ প্রজাপতি পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তির সাহায্যে দিক নির্ধারণ করে।



১০. স্যামন মাছ (৩,৮০০ কিলোমিটার)
জীবনের প্রথম কয়েক বছর ঠাণ্ডা পানিতে বাস করে এই মাছটি। এরপর ডিম পাড়া হলে সমুদ্রের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। তিন থেকে চার বছর পর আবার জীবনের শেষাংশের বছরগুলো কাটাতে ফিরে আসে ঠাণ্ডা জলের নদীতে।

কোন মন্তব্য নেই