বগুড়ার গৃহবধূকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার পল্লীতে আফরুজা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার নিজ বাড়ির শোবার ঘরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আফরুজা বেগম উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের বড়চাপড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, আফরুজার স্বামী আব্দুল মান্নান দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালান। কাজের জন্য মান্নান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় রাত কাটান। ঘটনার রাতে তিনি উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বড় মেয়ে নানার বাড়িতে অবস্থান করায় তার স্ত্রী আফরুজা খাওয়া দাওয়া শেষে তার পাঁচ বছরের মেয়ে মিলিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা আফরুজার শোবার ঘরের টিনের দরজা কেটে ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে।
ভোরে নিহতের মেয়ে মিলি গ্রামবাসীকে ঘটনাটি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
আদমদীঘি সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার আলমগীর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্বামী আব্দুল মান্নান জানান, দুই মাস আগে তার বড় মেয়ের সঙ্গে শ্লীলতাহানীর একটি ঘটনায় একই গ্রামের এক বখাটের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। এর জেরেই তাদের পক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহত আফরুজাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
কোন মন্তব্য নেই